» চব্বিশের আন্দোলনের প্রথম সারির নায়ক ছাত্রশিবির: কেন্দ্রীয় সভাপতি

প্রকাশিত: 21. November. 2024 | Thursday

চব্বিশের আন্দোলনে নায়ক খুঁজলে ছাত্রশিবির প্রথম সারিতে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০টায় কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে আয়োজিত নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই আয়োজন করে শাখা ছাত্রশিবির।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, চব্বিশের আন্দোলন প্রায় ২ হাজার শহীদ ও হাজারো শিক্ষার্থী-জনতার পঙ্গুত্ব বরণ ও আহত হওয়ার বিনিময়ে সফলতা এসেছে। এই সফতলার মূল স্পিরিট হলো বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ ও স্বাধীনতা ভোগ করা। এই সফলতার জন্য প্রথম ত্যাগী আবু সাইদ। আমরা সকলেই এই আন্দোলনের সামনে ছিলাম। শিবির মেধাবীদের সংগঠন। যে শিবির করবে সৎ, দক্ষ, যোগ্য হবে। ছাত্রশিবির রাজনীতি চর্চা করে না। ছাত্রদের সাথে নিয়ে কাজ করতে চায়।
মঞ্জুরুল ইসলাম আরো বলেন, জাতির সামগ্রিক উন্নতিতে কোনো লিডারই কাজ করেনি। আমাদের দাসানুদাস করে তোলা হয়েছে। এটা রাষ্ট্রের বড় এক ত্রুটি। এই জায়গা থেকে বের হতে না পারায় যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে ওঠেনি। এটা জাতির সবচেয়ে বড় সংকট। আর যে সৎ ছিল তাকেই হত্যা করা হয়। তাই এখন নতুনদের এগিয়ে আসতে হবে। আমরা জাহেলিয়াত মুক্ত নতুন প্রজন্ম সৃষ্টি করতে চাই। জালিম সরকার হাসিনার পতনের মত একই কায়দায় নতুন প্রজন্ম চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে জানে।

অনুষ্ঠানে সংগঠনটির ইবি শাখার সভাপতি এইচ এম আবু মুসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় পুলিশের গুলিতে শহীদ আব্দুল্লাহ আল মোস্তাকিমের পিতা লোকমান হোসাইন। সংগঠনটির ইবি শাখার সেক্রেটারি মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ইবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আল-হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট ও বায়েটোকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কুষ্টিয়া-যশোর শাখার টিম সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলার সাবেক আমির অধ্যক্ষ এ কে এম আলী মহসিন, কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক সোহেল, কুষ্টিয়া শহর শাখার সভাপতি হাঃ সেলিম রেজা, ইসলামী ছাত্রশিবির ইবি শাখার সভাপতি এইচ এম আবু মুসা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

[hupso]