- গাজার বেইত লাহিয়ায় আবাসিক ভবনে বিমান হামলা, নিহত ৯৩
- দুদক চেয়ারম্যান-কমিশনারদের পদত্যাগ
- ট্রেনের টিকিট পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন আসছে : রেল উপদেষ্টা
- উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার কাজ শুরু: ডা. জাহিদ
- ‘আমরা আর কতদিন রোহিঙ্গাদের খাইয়ে-পরিয়ে রাখব’
- প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ভলকার তুর্কের বৈঠক
- ৩৮তম বিসিএসের ফল কোটামুক্ত প্রকাশ করতে হাইকোর্টের রুল
- নভেম্বরেই পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর রুটে ট্রেন চলাচল শুরু
- গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দোসরদের রেখে সংস্কার সম্ভব নয়: তারেক রহমান
- ২৭নং ওয়ার্ডে প্রিপেইড মিটার স্হাপনে প্রতিহত করলেন এলাকাবাসী।
» কুমিল্লা দক্ষিণে চড়া দামেও মিলছে না পণ্য, বন্যার্তদের হাহাকার
প্রকাশিত: 25. August. 2024 | Sunday
কুমিল্লার দক্ষিণে বন্যা আক্রান্ত এলাকার বাজারে ফুরিয়ে আসছে নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্য। নিচু জায়গার বেশির ভাগ বাজার পানির নিচে। আর উঁচু জায়গার বাজারগুলোতে গত কয়েকদিন ধরে শুকনো খাবারের চাহিদা বেড়ে যায়। এতে টান পড়ে নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্য চাল, ডাল, আলু, তেল, পিয়াজ, রসুনসহ প্রায় সব পণ্যে।
বন্যার কারণে সরবরাহ ব্যাঘাত ঘটায় বন্যা আক্রান্ত এলাকার অপেক্ষাকৃত উঁচু বাজারগুলোতে নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্য নেই বললেই চলে। এছাড়া জরুরি ওষুধের সঙ্কটও দেখা দিয়েছে। যার কারণে দূর-দূরান্তের বাজারগুলো থেকে চড়া দামে খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ করতে হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক এবং সাধারণ মানুষদের।
নাঙ্গলকোটের করপাতি গ্রামের আরিফ হোসেন বলেন, কোনো বাজারেই খাবার নেই। অনেক দূরে লাকসাম বাজারে গিয়ে শুকনো খাবার সংগ্রহ করছি। সেখানেও চড়া দাম। নাঙ্গলকোটের অনেক দুর্গম এলাকায় ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না। প্রবাসী ও স্থানীয় পেশাজীবীরা সহযোগিতা করছেন। এক সপ্তাহ ধরে মানুষ পানিবন্দি। বাজারেও পণ্য না থাকলে এভাবে আর চালিয়ে নেওয়া যাবে না।
ওই উপজেলার আইটপাড়া গ্রামের জাবেদ হোসেন বলেন, শহরের কাছাকাছি এলাকায় মানুষ যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ পাচ্ছে। আমাদের এলাকা দূরবর্তী হওয়ায় বাইরে থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি না। আমাদের অনেক অনেক ত্রাণের দরকার।
চৌদ্দগ্রামের বসুয়ারা গ্রামের আবুল বাশার জানান, এ উপজেলা ফেনী লাগোয়া। কুমিল্লায় সবচেয়ে বেশি বন্যা আক্রান্ত এলাকা চৌদ্দগ্রাম। এখনো ৮০ শতাংশ গ্রাম পানির নিচে। ফেনীর উত্তরাংশ লাগোয়া অনেক গ্রামে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের জীবন কীভাবে চলছে বোঝা যাচ্ছে না। ওইসব এলাকার বাজারগুলোও পানির নিচে। টাকা থাকলেও তারা আজ অসহায়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কুমিল্লার লাকসাম, নাঙ্গলকোট, চৌদ্দগ্রাম ও মনোহরগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। প্রায় ৫ সেন্টিমিটারের মতো পানি কমেছে ওইসব এলাকায়। অপরদিকে গোমতীর বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বুড়িচংয়ের পর ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অধিকাংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। গোমতীর পানি ঢুকছে দেবিদ্বার উপজেলাতেও।
দেবিদ্বারের রসুলপুর গ্রামের মোহাম্মদ শরীফ বলেন, আগে থেকে বৃষ্টির পানির কারণে জলাবদ্ধতা ছিল। গোমতীর পানি ঢুকে এখন বন্যায় রূপ নিয়েছে। মানুষের লাখ লাখ টাকার মাছের ঘের ভেসে যাচ্ছে।
তিনদিন বৃষ্টি না থাকলেও রবিবার দুপুর ২টা থেকে কুমিল্লায় পুনরায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টি বাড়লে সঙ্কট আরও ঘণীভূত হতে পারে।
সর্বাধিক পঠিত খবর
- GSWA এর উপদেষ্টা সৈয়দ জাকির হোসেনের ইন্তেকাল
- বাংলাদেশ সেন্টারের বার্ষিক সাধারণ সভায় দেলোয়ার হোসেনের অনৈতিক কর্মকান্ডে বিক্ষুব্ধ কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ
- শাহ আলম UAE সংবাদ প্রতিনিধি হিসেবেপ দায়িত্ব গ্রহণ
- হাফিজ আনোয়ার হোসেইন সৌদি আরব সংবাদ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ
- রেমিট্যান্স যোদ্ধা শাহাদাতের প্রবাস জীবনের করুণ কাহিনী