- সংগ্রামী জীবনের নাম খালেদা জিয়া – এম এ হোসেইন
- গ্রটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
- বৃটেনের কার্ডিফ শাহজালাল বাংলা স্কুলে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন
- প্রবাসী সম্মাননা অর্জন করায় ডক্টর ওয়ালী তছর উদ্দিন কে অভিনন্দন জানালেন এম এ হোসেইন
- ইউকে বিএনপির ৫৫তম বিজয় দিবস উদযাপনে তারেক রহমানের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ও ঐতিহাসিক ভাষণ
- যুক্তরাজ্যের আইনজীবী ব্যারিস্টার নাজির আহমদ প্রবাসী সম্মাননায় ভূষিত – এম এ হোসেইনের অভিনন্দন
- অবশেষে মাকে দেখতে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান : এম এ হোসেইন
- অস্ট্রেলিয়ায় “তারেক রহমান” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
- লেষ্টার গ্রেটার সিলেট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন -ইউকের আত্মপ্রকাশ
- ফেঞ্চুগঞ্জের ছএিশ গ্রামে সরকারি গোপাট ও পূর্বপাড়া রাস্তা দখল: প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি
» সংগ্রামী জীবনের নাম খালেদা জিয়া – এম এ হোসেইন
প্রকাশিত: 30. December. 2025 | Tuesday
সংগ্রামী জীবনের নাম খালেদা জিয়া- এম এ হোসেইন
লন্ডন নিউজ ডেস্ক :
(জন্ম ১৯৪৫ মৃত্যু ২০২৫)
জন্ম থেকে মৃত্যু: ক্ষমতা, নীরবতা ও প্রতিরোধের গল্প
ইতিহাস কখনো কখনো মানুষকে বেছে নেয় না—মানুষই ইতিহাস হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমনই এক নাম বেগম খালেদা জিয়া—যার জীবন কোনো সাধারণ রাজনৈতিক জীবনী নয়; বরং এটি ক্ষমতা, নীরবতা, সহনশীলতা ও অবিচল প্রতিরোধের দীর্ঘ উপাখ্যান।
১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট, ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষের দিনাজপুর অঞ্চলে জন্ম নেন খালেদা খানাম। প্রকৃতির নিবিড় সান্নিধ্য, শালীন পারিবারিক পরিবেশ এবং শৃঙ্খলাপূর্ণ বেড়ে ওঠা তার চরিত্রে গভীর ছাপ ফেলে। কৈশোর পেরোবার আগেই, ১৯৬০ সালে, তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতিশ্রুতিশীল কর্মকর্তা মেজর জিয়াউর রহমানের সঙ্গে। সেই মুহূর্ত থেকেই তার জীবন প্রবেশ করে এক কঠোর শৃঙ্খলা ও নীরব আত্মসংযমের জগতে।
স্বামী জিয়াউর রহমানের উত্থান—মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব, রাষ্ট্রক্ষমতার শীর্ষে আরোহণ এবং পরবর্তী নির্মম হত্যাকাণ্ড—খালেদা জিয়ার জীবনকে এক মুহূর্তে বদলে দেয়। স্বামীহারা এক গৃহবধূ থেকে তিনি পরিণত হন রাষ্ট্রীয় শোকের প্রতীক ও রাজনৈতিক অনিবার্যতায়।
১৯৮১ সালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতৃত্ব গ্রহণ করেন—কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে নয়, বরং পরিস্থিতির চাপ ও দায়িত্ববোধ থেকে। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে তিনি হয়ে ওঠেন এক অনমনীয় কণ্ঠ। কারাবরণ, নির্যাতন, রাজনৈতিক অবরোধ—কিছুই তাকে দমাতে পারেনি।
তিনি একাধিকবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ক্ষমতায় থেকেও তিনি ছিলেন সংযত, ব্যক্তিগত আক্রমণে নীরব, প্রতিহিংসায় অনাগ্রহী। তার নীরবতা অনেকের কাছে দুর্বলতা মনে হলেও, ইতিহাস প্রমাণ করেছে—এই নীরবতাই ছিল তার সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র।
জামায়াত প্রসঙ্গ, নির্বাচন বিতর্ক, ৫ জানুয়ারির রাজনৈতিক সংকট—সবকিছুর মধ্যেই তিনি অবস্থান নিয়েছেন কৌশলগত বাস্তবতায়, আবেগে নয়। ক্ষমতার বাইরে থেকেও তিনি হয়ে উঠেছিলেন একটি প্রতিরোধের নাম।
জীবনের শেষ অধ্যায় ছিল বেদনাদায়ক। দীর্ঘ অসুস্থতা, নিঃসঙ্গতা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ভার—সবকিছুর মধ্যেও তিনি হারাননি আত্মমর্যাদা। মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তার জীবনের সমাপ্তি হলেও, তার রাজনৈতিক উপস্থিতি রয়ে গেছে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এক অবিচ্ছেদ্য অধ্যায় হয়ে।
খালেদা জিয়া ছিলেন এমন এক নারী, যিনি কথা কম বলেছেন—কিন্তু যার নীরবতা যুগ যুগ ধরে উচ্চারিত হবে।
Arafatnews-এর পক্ষ থেকে
মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেইন
সম্পাদক ও প্রকাশক
সর্বশেষ খবর
- সংগ্রামী জীবনের নাম খালেদা জিয়া – এম এ হোসেইন
- গ্রটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
- বৃটেনের কার্ডিফ শাহজালাল বাংলা স্কুলে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন
- প্রবাসী সম্মাননা অর্জন করায় ডক্টর ওয়ালী তছর উদ্দিন কে অভিনন্দন জানালেন এম এ হোসেইন
- ইউকে বিএনপির ৫৫তম বিজয় দিবস উদযাপনে তারেক রহমানের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ও ঐতিহাসিক ভাষণ
সর্বাধিক পঠিত খবর
- BCA Awards Ceremony 2024
- শাহ আলম UAE সংবাদ প্রতিনিধি হিসেবেপ দায়িত্ব গ্রহণ
- GSWA এর উপদেষ্টা সৈয়দ জাকির হোসেনের ইন্তেকাল
- বাংলাদেশ সেন্টারের বার্ষিক সাধারণ সভায় দেলোয়ার হোসেনের অনৈতিক কর্মকান্ডে বিক্ষুব্ধ কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ
- প্রবাসীদের ১৭ টি দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে ২৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের বৈঠক
এই বিভাগের আরো খবর
- সংগ্রামী জীবনের নাম খালেদা জিয়া – এম এ হোসেইন
- গ্রটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
- বৃটেনের কার্ডিফ শাহজালাল বাংলা স্কুলে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন
- প্রবাসী সম্মাননা অর্জন করায় ডক্টর ওয়ালী তছর উদ্দিন কে অভিনন্দন জানালেন এম এ হোসেইন
- ইউকে বিএনপির ৫৫তম বিজয় দিবস উদযাপনে তারেক রহমানের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ও ঐতিহাসিক ভাষণ


