» কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হবে: ফয়জুল করিম

প্রকাশিত: 07. September. 2024 | Saturday

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর হজরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম (শায়েখে চরমোনাই) বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এদেশে বারবার শুধু ক্ষমতার পালা বদল হয়েছে। নেতার পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু নীতি ছিলো একটিই। আর তাহলো মানব রচিত আইন ও শাসন ব্যবস্থা। এই কারণে শাসক গোষ্ঠী হয়েছে স্বৈরাচার ও দুর্নীতিবাজ। স্বাধীনতার স্বাদ থেকে জনগণ হয়েছে বঞ্চিত। আর জনগণকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করতে হয়েছে বারবার। সম্প্রতি জুলাই বিপ্লবও হয়েছে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ স্বৈরচারের বিরুদ্ধে। শত শত ছাত্র-জনতার জীবন উৎসর্গ এবং পঙ্গুত্ব বরণ করার মাধ্যমে সফল হয়েছে এ আন্দোলন। বিদায় হয়েছে রক্তচোষা মানবতা বিরোধী ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকার।

তিনি আরো বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে স্বাধীনতার স্বাদ নেওয়ার পথকে সুগম করেছেন। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে না পারলে জাতি হিসেবে আমাদেরকে চরম খেসারত দিতে হবে। ভবিষ্যতেও স্বৈরাচারী শাসকের আগমন হবে। দুর্নীতি-দুঃশাসন শুরু হবে। দেশ অকার্যকর হবে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় বিঘ্নতা সৃষ্টি হবে। আমরা এমনটি হতে দিতে পারি না। এই বিপ্লবকে অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এটাই চায়। ইসলামকে ক্ষমতায় নিতে চায়।

শুক্রবার বিকেলে গাজীপুর শহরের রাজবাড়ী মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গাজীপুর জেলা ও মহানগর শাখার যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিশাল গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নগর আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মাদ ফাইজ উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নেছার উদ্দীন, জাতীয় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রেজাউল করীম আবরার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগী) জি এম রুহুল আমীন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল বশর আজিজী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি প্রিন্সিপাল মুফতি মোহাম্মাদ নাসির উদ্দীন, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক ইন্জিনিয়ারি এহতেশামুল হক পাঠান।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা বামুকের সদর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, নগর আন্দোলন সহ-সভাপতি মাওলানা এম এ হানিফ সরকার, জেলা আন্দোলনের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের, নগর আন্দোলন সেক্রেটারী মুফতী হুসাইন আহমদ, জেলা আন্দোলনের সেক্রেটারী মাওলানা আবু বকর সিদ্দীক মাজেদুল, নগর আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম সাইদুর রহমান, জেলা আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন আব্দুল্লাহ, নগর ওলামা মাশায়েখের সভাপতি মাওলানা হাবিবুর রহমান মিয়াজী, জেলা ওলামা মাশায়েখের সভাপতি মাওলানা গাজী আল মাহমুদ, নগর শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মাদ ইকবাল হোসেন হাওলাদার, জেলা শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মাদ মাহবুব আলম, নগর জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম মন্ডল, জেলা জতীয় শিক্ষক ফোরামের সভাপতি মাওলানা মইন উদ্দিন আজাদী, নগর যুব আন্দোলনের সভাপতি মুফতী ফরহাদুল ইসলাম, জেলা যুব আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ আকরাম হোসেন, নগর ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি শেখ মুহাম্মাদ জাকারিয়া, জেলা ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মাদ আরাফাত হোসেন অনিক প্রমূখ।

[hupso]