- চট্টগ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় আইনজীবী নিহত
- বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষের মৃত্যু
- ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের আগেই বিদেশি শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরতে সতর্কবার্তা
- উত্তাল ইসলামাবাদের সব মার্কেট বন্ধ ঘোষণা, বড় অভিযানের শঙ্কা
- ইসলামী ব্যাংকে এখনো বহাল সেই এমডি
- ইসকন ইস্যুতে দেশি-বিদেশি ইন্ধন থাকতে পারে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- আমরা কোনোভাবেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হতে দেব না : হাসনাত আব্দুল্লাহ
- ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্রকারীরা কখনোই সফল হবে না : তারেক রহমান
- জুলাই বিপ্লবে আহত হাসানকে থাইল্যান্ড নেওয়া হচ্ছে
- আইনজীবী হত্যার তদন্তের নির্দেশ, দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
» বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ‘সিঙ্গেল ইস্যু’তে সীমাবদ্ধ নয় : প্রণয় ভার্মা
প্রকাশিত: 17. November. 2024 | Sunday
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কোনো সিঙ্গেল ইস্যু বা এজেন্ডায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং এ সম্পর্ক বহুমুখী ও বিস্তৃত। দুই দেশ একে অপরের প্রতি আগের চেয়ে বেশি নির্ভরশীল।
আজ রবিবার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৪’- শীর্ষক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত সম্মেলনের বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্য দেন প্রণয় ভার্মা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে খুবই গঠনমূলক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা একে অপরের প্রতি পারস্পরিকভাবে নির্ভরশীল।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে হাইকমিশনার জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারত দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে এবং বিশ্বাস করে যে এ দুই দেশের শান্তি, নিরাপত্তা, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি পরস্পরের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
তিনি বহুমুখী সম্পর্কের প্রতিফলন হিসেবে বাণিজ্য, পরিবহন ও জ্বালানি সংযোগ এবং মানুষে-মানুষে সম্পৃক্ততার ক্রমাগত অগ্রগতির ওপর জোর দেন, যেখানে রাজনৈতিক পরিবর্তন নির্বিশেষে দুই দেশের পারস্পরিক নির্ভরতা ও দ্বিপাক্ষিক মঙ্গলের বাস্তবতা নিজেকে পুনর্ব্যক্ত করতে থাকবে।
ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালনের সূচনা এবং পেট্রাপোল-বেনাপোল সমন্বিত চেকপোস্টের অবকাঠামো বিবর্ধনকে দ্বিপাক্ষিক বিনিময়ের ক্ষেত্রে অব্যাহত অগ্রগতির উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন হাইকমিশনার।
ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতাকে তিনি বিম্সটেকের মতো কাঠামোর অধীনে আঞ্চলিক একত্রীকরণের পরিকল্পনার ক্ষেত্রে একটি নোঙর হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স দুই দেশের সম্পর্ককে গভীর করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। আমাদের সম্পর্ক আগের চেয়েও বেশি একে অপরের ওপর নির্ভরশীল।
হাইকমিশনার শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য দুই দেশের যৌথ আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে এবং অংশীদারত্বের মাধ্যমে উভয় পক্ষের সাধারণ জনগণের উপকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
গতকাল শনিবার বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এ বছরের সম্মেলনে বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশ থেকে ২০০ জনের বেশি আলোচক, ৩০০ জন প্রতিনিধি এবং ৮০০ জন অংশগ্রহণকারী যোগ দেন।
[hupso]