- বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ২০ বিলিয়ন ডলার
- ছাত্র আন্দোলন: বাড্ডায় দুলাল হত্যা মামলায় কৃষক লীগ নেতা গ্রেফতার
- গণভবনের জাদুঘরে শহীদ নাফিজের দেহ বহনকারী সেই রিকশাটি
- মুজিববর্ষের নামে অর্থ অপচয়ের ডকুমেন্টেশন হবে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
- মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি অস্বাভাবিক নয়, এটা সাময়িক : অর্থ উপদেষ্টা
- ট্রাম্পের জয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে বড় পরিবর্তন হবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- নির্বাচন কমিশনের জন্য বিএনপির পাঁচ নাম প্রস্তাব
- ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জামায়াতের অভিনন্দন
- শেখ হাসিনার পতনে পার্শ্ববর্তী দেশ খুবই অসন্তুষ্ট-হৃদয়ে জ্বালা : রিজভী
- বাংলাদেশ সেন্টারকে চ্যারেটি কমিশনের খোলা চিঠি
» মাষ্টার এমরানের অবিস্মরণীয় স্মৃতি
প্রকাশিত: 15. August. 2024 | Thursday
দারুণ দুঃসাহসী এক অবাক পুরুষ। আমাদের সবার প্রিয় শ্রদ্ধেয় শিক্ষক জনাব এমরান আহমদ
নিউজ ডেস্ক :
,পিতা – মরহুম জনাব ক্বারী নেছার আহমদ। বিয়ানীবাজার উপজেলার ১নং আলীনগর ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে তাঁর জন্মগ্রহণ করেন। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি জ্যৈষ্ঠ । একই গ্রামের ঢাকাউত্তর সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে শিক্ষা জীবন শুরু। পঞ্চম শ্রেণিতে (এক বছর) চারখাই ইউনিয়নে অবস্থিত হাজী আঃ আজিজ চৌধুরী সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে অধ্যয়ণ করেন, যেখানে তাঁহার চাচা মরহুম নিমার আলী মাস্টার সাহেবের সাহচর্যে ছিলেন।
১৯৮৮ ইংরেজি সনে তিনি ডি.এম.উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন। তারপর ১৯৯৩ সালে উক্ত বিদ্যালয় থেকে সফলতার সাথে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে সিলেট সরকারি কলেজ থেকে সফলতার সাথে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন,অনন্তর ১৯৯৬ সালে সিলেট মদন মোহন কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে অর্থনীতিতে(অনার্স)সম্পন্ন করেন।
২০০৩ সালের ৪ই জুন উক্ত উপজেলাধীন আলীনগর ইউনিয়নে অবস্থিত ব্রাহ্মণগ্রাম সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে সহঃ শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন অর্থাৎ কর্মজীবন শুরু। পরবর্তীতে উনি চলে গেলেন উত্তরভাগ সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে। যেখানে বর্তমানে কর্মরত, শিক্ষকতার জীবন ১৯ বছর চলিতেছে। করোনাকালীন এই সময়ে উনি অনেকেগুলো কবিতা ও করোনা মহামারী সম্পর্কিত দুটো গান ও লিখেছিলেন। যা আমরা সোস্যাল মিডিয়াতে দেখতে পাই, শিশু শিল্পীরা গেয়েছিলেন।
তাঁহার শিক্ষকগণের প্রতি যে ভালোবাসা যা স্মৃতি থেকে লিখে থাকেন, আমরা সোস্যাল মিডিয়াতে দেখতে পাই। এই মহৎ ব্যক্তি বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সাথে ও জড়িত । বর্তমানে সিলেট জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন।
শ্রদ্ধেয় শিক্ষক এমরান আহমদ একজন নিষ্ঠাবান মুসলিম। দৈনন্দিন জীবনে তিনি ইসলামের অনুশাসনগুলো নিষ্ঠার সাথে প্রতিপালন করেন । পরিবার সহ, তাঁর বন্ধু – বান্ধব,ছাত্র-ছাত্রী যাতে নিয়মিত নামাজ ও রোজা পালন করে সেই দিকে তাঁর সজাগ দৃষ্টি রয়েছে । নামাজ ও রোজা পালনে শৈথিল্যের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা আছে ।
২০২০ সালের অনেকটা শেষের দিকে, বাংলাদেশ তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে ‘আসল চিনি’ নামক ক্যাম্পেইনে যুক্ত ছিলেন ছিলেন ‘দুর্বার’ নামক প্লাটফর্মে (৮ সেপ্টেম্বর-৩১অক্টোবর)। সেখানে প্রতিযোগিতায় ও অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রতিযোগিতার বিষয়ঃ নিরাপদ অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ও গুজবের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক পোস্টার ডিজাইন প্রতিযোগিতা।
দুর্বার পোস্টার ডিজাইন প্রতিযোগিতায় তিনি সারা দেশের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। ১৩ নভেম্বর ২০২০ সালে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাননীয় তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক এমপি মহোদয় উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছিলেন এবং উনি পোস্টারে যে বিষয়টি লিপিবদ্ধ করেছিলেন তাঁর কাজের ভূয়সী প্রশংসা ও করেছিলেন। পরবর্তীতে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে পেয়েছি, উনার এই সাফল্যের জন্য এলাকাবাসী ও শিক্ষক সম্প্রদায় খুবই আনন্দিত !
২০১৬ সালের প্রায় শেষের দিকে তিনি সপরিবারে সিলেট শহরে অবস্থান করেছেন অদ্যাবধি। উনার এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ে ৭ম শ্রেণিতে সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ-এ অধ্যয়নরত। ছেলে ৪র্থ শ্রেণিতে সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। অতিসম্প্রতি ছেলে দুর্বার প্লাটফর্মের “আমার মুজিব” ক্যাম্পেইনের অধীনে “মুজিবের কাছে চিঠি প্রতিযোগিতা (৩য়-৪র্থ শ্রেণির) ক্যাটাগরিতে সারাদেশের মধ্যে প্রথম রানারআপ হয়েছিলো যা ফেসবুকের মাধ্যমে আমরা দেখতে পেয়েছিলাম। দূরালাপনীতে জানতে পেলাম, উনার মেয়ে (৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণি) ক্যাটাগরিতে ৬ষ্ঠ স্থান, তার এই সাফল্যে সকল পরিবার-পরিজনের প্রতি দোয়া চাইলেন।
শ্রদ্ধেয় শিক্ষক জনাব এমরান আহমদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে যে, তাঁর লেখালেখি জীবনে নিজেকে আত্মনিয়োগ করবেন। “দৈনিক সিলেটের ডাক” পত্রিকায় মাঝেমধ্যে লেখালেখি আমরা দেখতে পাই । গতকাল একটা কবিতা লিখেছিলেন “মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব” আমরা ফেসবুকে দেখেছি, কবিতার যে বিশেষত্ব রয়েছে তা অনেকের কাছে ভালো লাগার কথা এবং গুরুত্বপূর্ণ ও বটে। যার প্রতিটি শব্দ মুজিবের “ম” দিয়ে অর্থাৎ এধরণের লেখা অনেকটা বিরল ! আল্লাহ যেনো তাঁহাকে জ্ঞান,নেক হায়াত, রিজিক বহু গুণে বাড়িয়ে দেন, এবং তাঁর উত্তরসূরীদের উপকারী বিদ্যা ও ঈমানের অলঙ্কার দ্বারা বিভুষিত করেন – আমিন।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ এ হোসেইন এমরান মাষ্টার কে খুবই স্নেহ করতেন। লন্ডন থেকে মাঝে মধ্যে টেলিফোনে কথা বলতেন। কুশল বিনিময় করতেন। তিনি বলেন এমরান মাষ্টার সত্যিই বড় গভীর জ্ঞানের প্রতীক। তার মধ্যে ছিল অসাধারণ মেধা দক্ষতা অভিজ্ঞতা।
লিপিকর – মেরান আহমদ
হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।