- ড. ইউনূসের ইমেজ কাজে লাগিয়ে টাকা ফেরত আনা সম্ভব
- ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গেলেন সিইসি
- গুজব প্রতিরোধে সহায়তা চায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
- অটোরিকশা ইস্যুতে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে সরকার
- হেফাজতের সমাবেশে গণহত্যা: শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
- বর্ষা যেতেই দূষণে কালো ঢাকার ৪ নদী
- পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে
- পুরান ঢাকায় লঙ্কাকান্ড
- রাশিয়ার তেল পাচ্ছে উত্তর কোরিয়া, বিনিময়ে চলছে অস্ত্র ও সৈন্য সরবরাহ
- স্বর্ণের দাম বাড়ল, কাল থেকে কার্যকর
» সেনাকুঞ্জে হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া
প্রকাশিত: 21. November. 2024 | Thursday
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল বিকাল ৪টার দিকে তিনি সেনাকুঞ্জে পৌঁছান। এর আগে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে সেনাকুঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেন। প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া বৈকালিক এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথিদের জন্য নির্ধারিত আসনে বসেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তাঁর পাশেই বসেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর আসনে বসে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়াকে কথা বলতে দেখা যায়। তাঁর আগে তিনবারের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাঁর সঙ্গে সালাম বিনিময় করে আগত অতিথিদের উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রফেসর ড. ইউনূস। দীর্ঘ দেড় দশক পর সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপির পক্ষ থেকে তখন মিথ্যা মামলায় তাঁকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এরপর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালের মার্চ থেকে সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি পান তিনি। মুক্তির পর খালেদা জিয়া গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় থাকলেও অসুস্থতার কারণে তাঁকে একাধিকবার রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। পরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন ৬ আগস্ট পুরোপুরি মুক্তি পান খালেদা জিয়া। লিভার সিরোসিসসহ একাধিক রোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামী মাসের শুরুতে যুক্তরাজ্য যেতে পারেন বলে প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে। খালেদা জিয়া ছাড়াও ২০০৯ সালের পর এবারই প্রথম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বর্তমানে লন্ডন থেকেই স্থায়ী কমিটির পরামর্শ নিয়ে দল পরিচালনা করছেন তারেক রহমান। এ বছর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপির ২৬ জন আমন্ত্রণ পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গতকাল সেনাকুঞ্জে গেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাঈল জবিউল্লাহ, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, চেয়াপারসনের একান্ত সহকারী সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠপুত্র মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথিও সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছাত্র আন্দোলন নেতাদের কুশলবিনিময় : সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশলবিনিময় করেছেন ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতা। গতকাল সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কুশলবিনিময় করেন তাঁরা। তিন উপদেষ্টা ছাত্রনেতা হলেন, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। বিএনপি চেয়ারপারসন জুলাই-আগস্টে ছাত্রদের অবদানের কথা স্মরণ করেন। কুশলবিনিময় শেষে আসিফ মাহমুদ ফেসবুকে তিনটি ছবি শেয়ার দিয়ে লেখেন, আপনাকে এই সুযোগ করে দিতে পেরে আমরা গর্বিত।
[hupso]