» পুলিশে সংস্কারসহ ১২ দাবি গণ অধিকার পরিষদের

প্রকাশিত: 11. September. 2024 | Wednesday

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেছে গণ অধিকার পরিষদ। গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানসহ ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করে। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনাসহ চলমান পরিস্থিতিতে গণ অধিকার পরিষদের ১২ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।

গণ অধিকার পরিষদের প্রস্তাবগুলো হলো :

১. পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের পথ বন্ধ করে নিরপেক্ষ কাজের পরিবেশ তৈরি করা এবং নিয়োগ, পদোন্নতিসহ তদারকিতে ‘স্বতন্ত্র পুলিশ কমিশন’ গঠন করা।
২. ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা, গুলি চালানো সন্ত্রাসী এবং গণহত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে দ্রুত সময়ে পদক্ষেপ এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

৩. আগামী ১০ দিনের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদের হিসাব বিবরণী প্রকাশ।

৪. পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও পুলিশকে দলীয়করণ করাসহ দুর্বৃত্তায়নে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং দলবাজ, অসৎ কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা।

৫. চলমান পরিস্থিতিতে পুলিশের মনোবল বৃদ্ধি ও নির্বিঘ্নে-নিরাপত্তার সঙ্গে কাজ করাসহ দ্রুত সময়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গুরুত্বপূর্ণ মেট্রোপলিটন ও জেলা শহরের প্রতি থানায় ১০ জন করে সেনা সদস্য নিয়োগ করা।

স্থানীয় প্রশাসন ও নাগরিকদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরিতে কমিউনিটি পুলিশিংকে সক্রিয় করার পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়মূলক প্রগ্রাম গ্রহণ।

৬. পাসপোর্ট, ইমিগ্রেশনসহ পুলিশের সর্বস্তরের ঘুষ-দুর্নীতি মুক্ত করে জনবান্ধব পুলিশি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। পুলিশের ঝুঁকিপূর্ণ কাজের ভাতাসহ মাঠ পর্যায়ের টহল পুলিশের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট প্রদান। থানা/উপজেলা পর্যায়ে অন্য সরকারি কর্মকর্তাদের ন্যায় পুলিশেও ক্যাডার অফিসারদের পদায়ন।

৭. পুলিশের কোনো সদস্যদের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ উঠলে ১ মাসের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে ব্যবস্থা গ্রহণ।

৮. সারা দেশে মাদক, চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্য বন্ধে ছাত্র-নাগরিকদের সম্পৃক্ত করে পুলিশ কর্তৃক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ।

৯. কাজে যোগদান না করা এবং দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করা পুলিশ সদস্যদের চাকরিচ্যুত করা। প্রয়োজনে দ্রুত সময়ে নতুন নিয়োগ।

১০. বিট পুলিশিং/কমিউনিটি পুলিশিং সিস্টেমকে আরো কার্যকর করা।

১১. ‘চাকুরি নয়, সেবা’ এই মূলনীতির আলোকে বাংলাদেশ পুলিশকে নতুন করে ঢেলে সাজানো।

১২. পুলিশিং সিস্টেমকে উন্নত বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটি সুশৃঙ্খল, জনবান্ধব ও দক্ষ বাহিনীতে পরিণত করা।

বৈঠকে আরো অংশগ্রহণ করেন উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, এরশাদ সিদ্দিকী, আরিফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি অ্যাড. জুয়েল খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান প্রমুখ।

[hupso]