News Head

» গাজার বাসিন্দাদের এলাকা ত্যাগে বাধ্য করা ‘যুদ্ধাপরাধের’ শামিল

প্রকাশিত: 14. November. 2024 | Thursday

ফিলিস্তিনিদের গাজা ত্যাগে বাধ্য করাকে ‘যুদ্ধাপরাধের’ শামিল বলে মন্তব্য করেছে নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার বাসিন্দাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার মধ্য দিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর কর্মকর্তারা যুদ্ধাপরাধ করছেন। এইচআরডব্লিউ এ-সংক্রান্ত তথ্য–প্রমাণ জোগাড় করেছে। এ ছাড়া গাজার অনেক এলাকায় ফিলিস্তিনিদের আর ফিরে যাওয়ার উপায় নেই। এটি ‘জাতিগত নিধনের’ সংজ্ঞার সঙ্গে মিলে যায়।

এইচআরডব্লিউর ১৭২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত বাস্তুচ্যুত গাজাবাসীর সাক্ষাৎকার, স্যাটেলাইট থেকে ধারণ করা ছবি এবং লোকজনের কাছ থেকে নেয়া তথ্যের ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মানবাধিকার সংগঠনটির গবেষক নাদিয়া হার্ডম্যান।
জাতিসংঘের দেয়া তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়। এর আগে উপত্যকাটিতে ২ কোটি ৪০ লাখ মানুষের বসবাস ছিল। তখন থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

এইচআরডব্লিউর মধ্যপ্রাচ্য বিভাগের মুখপাত্র আহমেদ বেনচেমসি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘কৌশলগতভাবে গাজার বড় একটি অংশকে বসবাসের অযোগ্য করে তোলা হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা স্থায়ীভাবে বসবাসের অযোগ্য হয়ে গেছে। এটা জাতিগত নিধনের মধ্যে পড়ে।’

[hupso]