- বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে সরকার: ড. ইউনূস
- বিশ্বজয়ী হাফেজ মুয়াজ মাহমুদকে ছাদখোলা বাসে সংবর্ধনা
- কমেছে এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি
- জ্বালানি সংকটে বন্ধ বিদ্যুৎ কেন্দ্র
- সব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার
- খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রা চূড়ান্ত
- তাঁরা এখনো মামলার আসামি
- দক্ষিণ সরমায় প্রিপেইড মিটার প্রতিরোধ আন্দোলন কমিটি গঠন
- ইসরায়েলের পদক্ষেপে গাজার ২০ লাখ মানুষের জীবন হুমকির মুখে: জাতিসংঘ কর্মকর্তা
- সিবিএস নিউজের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ১০ বিলিয়ন ডলারের মামলা
» বর্তমান প্রধান বিচারপতির হাত ধরেই বিচার বিভাগ চূড়ান্ত স্বাধীন হবে : প্রত্যাশা মাসদার হোসেনের
প্রকাশিত: 26. September. 2024 | Thursday
দুই যুগ আগে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করে যে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিলেন সর্বোচ্চ আদালত, বর্তমান প্রধান বিচারপতির হাত ধরে সে রায়ের চূড়ান্ত বাস্তবায়ন হবে বলে প্রত্যাশা করছেন মামলার বাদী মাসদার হোসেন।
বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২১ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রতি অভিভাষণ দেন। এই অভিভাষণে বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠাসহ বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের রূপরেখা তুলে ধরেন। ঘোষিত রূপরেখায় বিচার বিভাগের কার্যকর স্বাধীনতা ও স্বতন্ত্রীকরণের চিত্র ফুটে উঠেছে উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতিকে ধন্যবাদ জানান মাসদার হোসেন। এ সময় তিনি প্রধান বিচারপতির কাছে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের রায় চূড়ান্ত বাস্তবায়নের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
দেশের নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক চেয়ে ১৯৯৪ সালে এই মামলা করেছিলেন জেলা জজ ও জুডিশিয়াল এসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মাসদার হোসেন। তিনি এখন অবসরে রয়েছেন। এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি করে ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করতে ঐতিহাসিক এক রায় দেন। ওই রায়ে সর্বোচ্চ আদালত বিসিএস (বিচার) ক্যাডারকে সংবিধান পরিপন্থি ও বাতিল ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে জুডিশিয়াল সার্ভিসকে স্বতন্ত্র সার্ভিস ঘোষণা করা হয়। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করার জন্য সরকারকে ১২ দফা নির্দেশনা দেন আপিল বিভাগ। মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পর ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয়ে বিচার বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের বাবা প্রয়াত ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ মাসদার হোসেন মামলার আইনজীবী। বিনা পারিশ্রমিকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ বাদীর পক্ষে এ মামলা লড়েছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞপ্তিতে।
[hupso]