- বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ২০ বিলিয়ন ডলার
- ছাত্র আন্দোলন: বাড্ডায় দুলাল হত্যা মামলায় কৃষক লীগ নেতা গ্রেফতার
- গণভবনের জাদুঘরে শহীদ নাফিজের দেহ বহনকারী সেই রিকশাটি
- মুজিববর্ষের নামে অর্থ অপচয়ের ডকুমেন্টেশন হবে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
- মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি অস্বাভাবিক নয়, এটা সাময়িক : অর্থ উপদেষ্টা
- ট্রাম্পের জয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে বড় পরিবর্তন হবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- নির্বাচন কমিশনের জন্য বিএনপির পাঁচ নাম প্রস্তাব
- ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জামায়াতের অভিনন্দন
- শেখ হাসিনার পতনে পার্শ্ববর্তী দেশ খুবই অসন্তুষ্ট-হৃদয়ে জ্বালা : রিজভী
- বাংলাদেশ সেন্টারকে চ্যারেটি কমিশনের খোলা চিঠি
» রেমিট্যান্স যোদ্ধা শাহাদাতের প্রবাস জীবনের করুণ কাহিনী
প্রকাশিত: 15. September. 2024 | Sunday
রেমিট্যান্স যোদ্ধা শাহাদাতের প্রবাস জীবনের করুণ কাহিনী
প্রতারক দালাল সুজন মুন্সির প্রতারণার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির জোর দাবি – সৌদি বাংলাদেশ দূতাবাসের হস্তক্ষেপ কামনা
নিউজ ডেস্ক : প্রবাসী বাংলাদেশী রেমিট্যান্স যোদ্ধা দেশ জাতির সূর্য সন্তান। ওঁরা দেশ ও জাতির অর্থ নৈতিক উন্নয়ন সাধনে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য দেশে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা গনের সঠিক মূল্যায়ন করা হয় না। আদম ব্যবসায়ী প্রতারক দালাল চক্রের পরিকল্পিত প্রতারণার ফাঁদে পড়ে শত শত শিক্ষিত যুবক প্রবাসে এসে মানবেতর জীবনযাপন জাপান করছে।ওদের অভিযোগ হলো দালালরা চার পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে এগ্রিমেন্ট ভিসা দিয়ে সৌদি আরব নিয়ে চুক্তি পত্র অনুযায়ী কোন কিছু বাস্তবায়ন করে না।
ভিসা বিক্রি করার সময় ওঁরা শপথ করে বলে :- ভিসার সাথে….
ক)মেডিক্যাল ফ্রী নেওয়া হবে, কোন অতিরিক্ত চার্জ করা হবে না
খ)একামা ফ্রী দেওয়া হবে, কোন চার্জ করা হবে না
গ) থাকাখাওয়া ফ্রী দেওয়া হবে কোন চার্জ করা হবে না
ঘ) যে কাজের ভিসা সেই কাজ দেওয়া হবে, অন্য কোন কাজ করতে বলা হবে না।
কিন্তু বিদেশে এসে দেখা যায় ওদের ওয়াদা এবং চুক্তি পত্র অনুযায়ী কিছুই নেই! ওরা দালাল চক্রের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে।দালালের বিরুদ্ধে কোন ধরনের অভিযোগ করলে কফিল দিয়ে দেশে পাটিয়ে দেওয়ার হুমকি ধামকি দেয়।তখন তাঁরা চিন্তা ভাবনা করে দেখে সবকিছু সহায় সম্বল বিক্রি করে বিদেশে এসে শূন্য হাতে দেশে ফিরে গিয়ে কি করবো! তাই ওরা নিরবে এই সমস্ত অবিচার জুলুম নির্যাতন সয্য করে। দেশে ফিরে যাওয়ার ভয়ে কারও কাছে কোন অভিযোগ করতে সাহস পায় না! ওদের দুঃখ বেদনা শোনার কেউ নেই। ওরা প্রতারক দালাল চক্রের প্রতারণায় সব কিছু হারিয়ে অসহায় হয়ে প্রতিকার পাওয়ার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। কিন্তু বাংলাদেশ দূতাবাস ওদের কোন সাহায্য সহযোগিতা করে না। তেমন একজন পরবাসী মোহাম্মদ শাহাদাত। দালাল সুজন মুন্সি মোহাম্মদ শাহাদাতকে এগ্রিমেন্ট ভিসা দিয়ে সৌদি আরব নিয়ে কিরকম নজির বিহীন প্রতারণা করেছে। তার করুণ কাহিনী প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা শাহাদাত তার নিজের হাতে লিখে আরাফাত নিউজের সৌদি আরব প্রতিনিধি হাফিজ আনোয়ার হোসেইনের নিকট প্রেরণ করেন। সেই সূত্র ধরে আরাফাত নিউজ ডেস্ক শাহাদাতের নিজের হাতে লেখা বিবরণ পত্রিকাতে হুবহু প্রকাশ করে। বাংলাদেশ দূতাবাস এই ঘটনা সত্য মিথ্যা যাচাই বাঁচাই করে যথাযত ব্যবস্হা গ্রহণ করবে এটাই সকলের প্রত্যাশা।
।। প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা শাহাদাতের স্বহস্তে লিখত বিবরণ।।
আমার নাম মোহাম্মদ শাহাদাত পিতার নাম মোঃ নুরুল হক হাওলাদার মায়ের নাম মোছাঃ রিণা আক্তার দেশের বাড়ি বরিশাল বিভাগ বরগুনা জেলা তালতলী উপজেলা ৬ নং মিশনবাড়িয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডগ্রাম নিদ্রা গোড়াপাড়া ইন্টার মিডিয়াট কমপ্লিট করে অনার্স অধ্যয়নরত বাংলাদেশ ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয় নিয়ে। পরিবারে মা এবং বাবা চার ভাই বোন। ভাইদের ভিতরে আমি বড় আর ছোট ভাইয়ের বয়স ১০ বছর।
এমত অবস্থায় পারিবারিক অর্থ নৈতিক সমস্যা সমাধান করতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে বিদেশে পাড়ি জমাতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ
গ্রাম থেকে তিন চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লাউপাড়া বাজার। আমার প্রাইমারি এবং মাধ্যমিক শিক্ষাজীবন সেখানেই হওয়ার কারণে বেশ পরিচিত হই, তারই প্রেক্ষিতে মোঃ সুজন মুন্সি নামের সৌদি প্রবাসী একজনের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক হয় তার মাধ্যমে সৌদি যাওয়ার কথাবার্তা পারিবারিকভাবে চুক্তিপত্র হয় তার সাথে চুক্তি হয় ০৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আমাকে সৌদি আরবে এনে কোম্পানিতে কালকে এখানকার সরকারি আইন অনুযায়ী একামা সহ সম্পন্ন ব্যবস্থা করবে, আমার সাথে আমার বাবার সাথে এবং আমার ছোট দুলা ভাইয়ের সাথে তার কথা হয় সে আমাদেরকে বলে ০৩ টি কাজের কথা তার ভিতরে একটা ওই সময় যেটা ভালো হয় সেটাই দিবে ১,কুরিয়ার সার্ভিস অফিসে ২,আবাসিক হোটেলে ৩,পেট্রোল পাম্প।। তার সাথে সম্পূর্ণ কত কথা ঠিক হয়ে যাওয়ার পর আমার লেখাপড়া স্থগিত করা হয় যেহেতু আমার অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ নেই। বিদেশে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু,,
আমাদের সাথে কথা হয়েছে সুজনের সাথে এক লক্ষ টাকা বিদেশ আসার পর আমি দিব
আমাদের সাথে সুজনের কন্টাক ছিল ৩০০০০ টাকার ভিতরে মেডিকেল করে দিবে,,,
প্রথমবার মেডিকেল করছি সেখান থেকেই দালালের শখ করে আমাকে ফালানো হয়েছিল প্রথম মেডিকেলে ২৫ হাজার টাকার উপরে আমার চলে গিয়েছে,, এরকম করে চারবার আমার বরিশাল থেকে ঢাকা আসতে হয়েছে সর্বশেষ সব মিলে 60 হাজার টাকার উপরে আমার মেডিকেল করতে লেগে গেছে।। এর ভিতর অনেক কাহিনী ঘটিয়েছে সুজন। এদিকে পরিবারের চাপ ওদিকে সুজন বিভিন্নভাবে আমাকে হে নষ্ট করা শুরু করছে,যাইহোক পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য আমি কোন দিকে কোন কিছু বলতে পারতেছি না পরে ভিসা প্রসেসিং শুরু মেডিকেল হওয়ার পরে সেখানে আজকাল পরশু এরকম করতে করতে দুই মাস পার হয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ একদিন আমাকে ফোন দিলে তোমার ভিসা পাঠিয়েছি আজকের রাতের ভিতরে তিন লাখ টাকা জমা দিবা,, শিখানো আবার আমাকে হেনস্তা করলো বাধ্য হয়ে তাৎক্ষণিক তিন লাখ টাকা গুছাইতে না পেরে এক লক্ষ তিরিশ হাজার টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠালাম বাকি টাকার জন্য দু তিন দিন সময় নিয়ে পরে ইসলামী ব্যাংকের আমার নিজের ব্যক্তিগত একাউন্ট থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা খরচসহ টান্সফার করলাম।। সেখানেও আবার টিকিট নিয়ে আবার শুরু করল আরেক কর্মকাণ্ড সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী ভিসা তিন মাসের ভিতরে সৌদি আসতে হবে আজকাল করতে করতে বিভিন্ন তারিখ দিতে দিতে আমাকে পরিবারকে বিভিন্নভাবে পেরেশানিতে যুক্ত করল, অবশেষে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার শেষ সপ্তাহে টিকিট কাটলো,, টিকিট আনতে গিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিসে আমাকে বসিয়ে রাখল নয়া পল্টনে অফিস, বাসায় এসে টিকিট অনলাইনের মাধ্যমে চেক করে দেখলাম সে টিকিট আমাকে যেতে টিকিটটি কম্পিউটার থেকে এডিট করে দেওয়া হয়েছিল তার আগের দিন সেই ফ্লাইট হয়ে গেছিল।। পরে আমি যখন ফোন দেই ফোন রিসিভ করে না এক পর্যায়ে বেলা ১০ থেকে ১১ঃ০০ টার দিকে আমাকে ফোন করে এম্বাসি থেকে বলে, তোমার টিকিট ক্যানসেল হয়ে গেছে অল্পের ভিতরে টিকিট দেব ইতিপূর্বে আমার পরিবারসহ ঢাকা এসে পড়েছি। সেখানে এক সপ্তাহ থেকে থাকতে হলো ভিসার মেয়াদ অক্টোবর শেষ 31 তারিখে আমার টিকিট কাটা হলো।।আসলাম সৌদি আরব উদ্দেশ্য বিমানে,, ট্রানজিট দিল দুবাই এয়ারপোর্টে আর আমাকে বলে দেওয়া হলো দুবাই এয়ারপোর্টে নামার পর তোমাকে তারা নিয়ে যাবে এবং বিমান চেঞ্জ করার জন্য তোমার কিছু করতে হবে না সেখানে বিমান কর্তৃপক্ষ তোমাকে ডেকে নিয়ে যাবে সেখানে ৫ ঘন্টা বিরোধী দেওয়া হল আমার বিমান কাউন্টারে সামনে আমি বসে ছিলাম কিন্তু রীতিমত আমাকে কেউ ডাকছে না পড়ে ইন্টারন্যাশনাল টাইম অনুযায়ী ১ ঘন্টা আগে আমি নিজে উঠে গেট দিয়ে ঢুকতে শুরু করলাম তখন প্রশাসন আমাকে বলল ইতিপূর্বে এ বিমানটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, আমি নতুন সেক্ষেত্রে আমি বাংলা এবং ইংরেজি ছাড়া অন্য কোন ভাষা পারদর্শী না সব কথা বুঝতে পারলাম না ইংরেজিতে যতটুক পারলাম তাদের সাথে কথা বললাম। পরে বিভিন্নভাবে ওখানে কর্মরত ব্যক্তিদের মাধ্যমে সহযোগিতা চেয়ে বিকাশ করলাম আমি কিন্তু তারা কোনভাবে আমাকে ঢুকতে দিল না বলল বিমান ছাড়ার এক ঘন্টা পূর্বে গেট ক্লোজ করা হয়ে থাকে কিন্তু ওই সুজন আমাকে এই বিষয়ে কোন ধারনা দেয়নি।। দুই তিন ঘণ্টা পার হওয়ার পরে বিভিন্ন প্রেশনের মধ্যে বাড়ি ফোন করি।। বাংলাদেশে আসার আগে আমার সিম টা কে ইন্টারন্যাশনাল করে নিয়ে আসছিলাম যার কারনে বাড়িতে যোগাযোগ করার ব্যবস্থাটা আমার জন্য সহজ হয়েছিল না হলে কি হতো আল্লাহ জানে,, যখন আমি সুজন কে ফোন দিলাম বিস্তারিত ঘটনা বললাম তখন সে আমাকে বলে আমি এখন কি করবো আমি কিছু জানি না এদিকে বাড়ি থেকে অস্থিরতা শুরু হল আত্মীয়-স্বজন সবাই কান্নাকাটি শুরু করলে এখন কি হবে একপর্যায়ে গিয়ে কোন ভাবি সে আমাকে হেল্প করতেছেন পরে আমি বাড়ির সাথে যোগাযোগ করে তার সাথে মা বাবা কথা বলে বলল টিকিট কেটে কেটে দেন আমরা টাকা দিচ্ছি,, তখন সুজন আমাকে বলল টিকিট কাটতে সত্তর হাজার টাকা লাগবে, বাড়িতে নাই ৫ টাকার কোন খবর সেখানে আবার আরেক বিপদ এসে হাজির হলো আর আমার সাথে সেখান থেকেও প্রতারণা করলো পরে বিভিন্নভাবে খোঁজখবর নিয়ে আমার কাকা ছিল ঢাকায় তার এক বন্ধুর মাধ্যমে দুবাই থেকে সৌদি আরবের টিকিট কাটলো ১৮০০০ টাকা দিয়ে,, আরেকটা বিষয় বলে রাখি দুবাই ফ্লাইট মিস করার সময় বাড়ি থেকে টাকা আনার কোন অবস্থান না পেয়ে আমার মা এবং আমার ফুপুর জিনিস গহনা স্বর্ণকারের দোকানে বন্দুক রেখে টিকিটের টাকা দেয়,,
আমার জীবনে সুদ ঘুষের সাথে অনেক যুদ্ধ করার পরও বাধ্য হয়ে স্বর্ণকারের কাছ থেকে টাকা আনতে হলো।
আসলাম সৌদি আরব দুবাই একদিন শেষে রাতে ফ্লাইট হল সৌদি এসে সকালে পৌঁছালাম।।
অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরে এখানে সুজন যার মাধ্যমে কথিত বাদল নামক দালালের কাছে আমাকে পাঠালো তার ছোট ভাই ৩-৪ ঘন্টা পরে এয়ারপোর্ট থেকে আমাকে নিয়ে আসলো এয়ারপোর্টে এসে আমার লাগেজ পাইনি।।রুমে নিয়ে আসলো রুমে থাকতে দিল ফলের উপরে একটা সোফা ছিল সেখানে,,জীবনের প্রথম এক অধ্যায় শুরু খাবারদাবার টাকার খরচ বিভিন্ন সহ আমাকে কোন ভাবে খোঁজখবর নিল না তিন দিন হয়ে গেল এর ভিতর আমি আসার পরে, বাংলাদেশ থেকে মাত্র ৭০ রিয়াল নিয়ে আসতে পারছিলাম। দুবেলা খাবার দিত বেশিরভাগ থাকতো দুপুরবেলা শুধু ডাল এলার্জির সমস্যা থাকার জন্য বাংলাদেশ আমি কখনো ডাল খেতাম না সেটাই এখন আমার নিত্য সঙ্গি এভাবে সময় কাটতে কাটতে একমাস ১৭দিন হয়ে যায়, বাড়ি থেকে অনেক চাপের পরে আমাকে একটা রেস্টুরেন্টে সিরিয়ান হোটেলে কাজের পাঠানো হয়,সেখানে কাজ করা শুরু করলাম আমাকে কাজ দেওয়া হলো থালা বাটি
পরিষ্কার কাজ যাইহোক কোন কিছু না বলে চুপচাপ কষ্টগুলো লুকিয়ে কাজ শুরু করলাম ।। আমাকে বলা হলো ইকামা করে দেবে এবং ওই হোটেল কর্তৃপক্ষ কাফেলা করে নিবে আমাকে। কাজ করতে করতে দুমাস পার হয়ে গেল বেতন নাই সেখানেও একই খাবার কষ্ট, যাইহোক মোটামুটি ফোনে যোগাযোগ ছিল আমার ইকামা এখনো দেয়নি এমনকি ফিঙ্গার পর্যন্ত করে দেয়নি,বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করলাম কোনভাবেই ইকামত দিচ্ছে না বিভিন্নভাবে বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছে, কাজ করা অবস্থায় দুই মাসের পরে হঠাৎ আমি অসুস্থ হয়ে পড়লাম তাৎক্ষণিক আমাকে হাসপাতাল নেওয়া হল এক রাত রাখার পরে হসপিটাল থেকে আমাকে বাসায় নেওয়া হলো এভাবে দুইবার ওখানে কাজ করা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে গেছিলাম দুই হাতের কাধ পর্যন্ত শীতকালের মত সাবানের পানিতে ফেটে গেছিল এবং জ্বালা যন্ত্রণা হয়েছিল,, অনেক ঝামেলা করে এক মাসের বেতন দিল। সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টা চালালাম কিন্তু ওই হোটেলে পুরান যারা কাজ করে তারা বলল এখানে আমরা দালালের থাপ্পরে পড়ে আছি বেতন ঠিকমতো দেয় না খাবার দেয় না এবং ইকামা কাফেলা কোনটাই হোটেল কর্তৃপক্ষ করে নিবে না তাদের কারো কাফেলাই কামা নাই। শারীরিকভাবে অনেক অসুস্থতায় ভুগতেছি আমি এক পর্যায়ে আমি অসহ্য হয়ে গেছিলাম পরে আমি ভাবলাম এখানে থেকে মরে গেলে আমাকে তো দেখার কেউ নাই পরে আমি একদিন বললাম বেতন না দিলে আমি আর কাজ করব না পড়ে অনেক বলা ভুলের পরে মোদির বলল তুই কালকে থেকে কাজ করতে আসবি না তোর বেতন টাকা দিয়ে দেওয়া হবে সেখান থেকে ওর সুজনের সাথে কন্টিনিউ যোগাযোগ করতেছি সুজন বলতে সবকিছু ঠিক করে দিব সমস্যা নেই ধৈর্য ধর। কাজ ছাড়ার পর ১৫ দিন পর আর এক মাসের বেতন আমাকে দিল পরে সেখান থেকে কিছু বন্ধুবান্ধবের সাথে যোগাযোগ করে চলে আসলাম।। বারের মাধ্যমে সুজনের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করলাম কোনভাবেই কোন সমাধান হচ্ছে না সুজনদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে বাবা দরখাস্ত নিয়ে গেল সে বাবাকে ডেকে বললো তুমি ইয়ানোর কাছে যাও আমি বলে দেবো তখন বাবা বিষয়টা বুঝতে আর কি বাকি বাবা মাকে ফোনে বললো চেয়ারম্যান যখন এই কথা বলে এই অনুর কাছে গেলেই আনুর কাছেও কোন সমাধান পাবো না দেখি কি করা যায়,,, এদিকে আমার নাচ থাকার জায়গা না আছে খাবার টাকা এক পর্যায়ে আমার পরিবারটা এলোমেলো হয়ে গেল। তাই কিছু বন্ধুবান্ধবের মাধ্যমে জেদ্দা শহরে চলে আসলাম রিয়াদ থেকে,১ নভেম্বর সকাল সৌদি আরব আসছি সে ঠিক এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন মাস হোটেলে কাজ করার পর আগে এক মাস ১৭ দিন এবং আগস্ট এখন চলছে এর ভিতরে বিভিন্ন সাপ্লাই এর মাধ্যমে কাজ করছিলাম টাকা পাইনি টাকা সব দালালরা খেয়ে ফেলে কোথাও কাজে যাই একামা ছাড়া কাজে নেয় না।। কিন্তু এমন অবস্থায় বাড়ি থেকে টাকা এনে ইকামা করা আমার পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয় ইকামা করতে হলে মিনিমাম তিন সাড়ে তিন লাখ টাকার উপরে লাগবে,, মাঝেমধ্যে দু একদিন কাজ করে বিভিন্নভাবে কষ্ট করে দিন পার করতেছি।। বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমার আবেদন। আমি সহ আমাদের মত প্রবাসীরা যারা এভাবে দালালের ফাঁদে পড়ে আছে তাদেরকে সৌদি দূতাবাসের সাথে কথা বলে চাকরি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। এর সাথে সাথে বাংলাদেশে বিদেশে অবস্থানরত দালালদের কে আইনের আওতায়নে বিচারের দাবি জানাই।
মোঃ শাহাদাত জেদ্দা বাংলাদেশ এম্বাসির পাশে ২৫,০৮,২০২৪
এই বিভাগের আরো খবর
- মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও বীরত্বগাঁথা জীবনী পাঠ্য বইয়ে অন্তরভূক্তির দাবী
- তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ৫ হাজার পাউন্ডের অমিল ও ফাঁকা চেকে স্বাক্ষর করে তহবিল লুটপাটের তথ্য উদ্ধার
- যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা তারেক চৌধুরীর সাথে মতবিনিময় সভা
- আল-আনসার ফাউন্ডেশন প্রতিটি সদস্য কে আমার অন্তসতল থেকে মোবারকবাদ এবং তাদের প্রতি অবিরাম ভালোবাসা কিছু কথা-……………
- ১৫ বছরে এত দুর্নীতির খবর আমরা জানলাম না কেন?