- ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর : আসিফ নজরুল
- আয়নাঘরে আমারও থাকার অভিজ্ঞতা হয়েছিল : উপদেষ্টা নাহিদ
- গত ৩ নির্বাচনে সবচেয়ে বড় অপরাধ করেছে নির্বাচন কমিশন : বদিউল আলম
- আওয়ামী লীগের কোনো ষড়যন্ত্র বাংলাদেশে বাস্তবায়ন হতে দেব না : মাসুদ সাঈদী
- আরও ৭৫ বাংলাদেশিকে মুক্তি দিলো আমিরাত
- ভয়েস অব আমেরিকার জরিপ : সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আগের তুলনায় বেশি ‘নিরাপত্তা’ পাচ্ছে
- আইনজীবী হত্যায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না : ধর্ম উপদেষ্টা
- ইসকনের বিরুদ্ধে বলা মানে হিন্দু ভাইদের বিরুদ্ধে বলা নয় : হেফাজত
- ঘূর্ণিঝড় ফিনজাল, শনিবার ৩ বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
- ভারতে কূটনৈতিক মিশনে নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান বাংলাদেশের
» যুক্তরাজ্যে নোরোভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে
প্রকাশিত: 11. November. 2024 | Monday
যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর নোরোভাইরাস আক্রমণ করে। এতে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে নোরোভাইরাসের একটি নতুন স্ট্রেইনের ব্যাপক বিস্তার দেখা গেছে। এদিকে উইন্টার ভমিটিং বাগের ঘটনা গত পাঁচ বছরের মধ্যে গড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। কাওয়াসাকি নামে পরিচিত এই স্ট্রেইনটি ২০১৪ সালের দিকে চীন এবং জাপানে প্রথম দেখা যায়। কিন্তু সাম্প্রতিককালে ইউরোপেও এটি ধরা পড়ছে। ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি বলছে, এই বছরের এপ্রিল থেকে ইংল্যান্ডে এই ধরনের স্ট্রেইনের নরোভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২৪-২৫ সালের প্রথম ১২ সপ্তাহে নোরোভাইরাসের কাওয়াসাকি স্ট্রেইনে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে। এমনকি এই স্ট্রেইন তার আগের স্ট্রেইনের চেয়েও ভয়ংকর হিসেবে দেখা দিয়েছে। এতে মারাত্মক অপ্রীতিকর বাগের সংক্রমণ স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি হয়েছে। যার ফলে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুসারে, বিভিন্ন হাসপাতালে রিপোর্ট করা প্রাদুর্ভাব গড়ের থেকে ২৬ শতাংশ বেশি।
এদিকে ব্রিটিশ সরকার বলছে, নোরোভাইরাসের ক্ষেত্রে উন্নত মানের নজরদারি এবং ভালো রিপোর্টিং সিস্টেমের কারণে সংক্রমণ সংখ্যা বেড়েছে। এদিকে নোরোভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন কাওয়াসাকি সম্পর্কে খুব বেশি জানা যাচ্ছেনা। সাধারণত নোরোভাইরাসে আক্রান্ত হলে ডায়রিয়া, বমি, জ্বর এবং মাথাব্যথা হয়ে থাকে। তবে এখন ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্মণও দেখা যাচ্ছে। এটা অনেকটা কোভিড স্ট্রেইন গুলোর মতো।
লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ডা. ডেভিড অ্যালেন বলেন, নোরোভাইরাসের দ্বিতীয় স্ট্রেইন প্রথম স্ট্রেইনের চেয়ে মারাত্মক হবে। জানা গেছে, অত্যন্ত সংক্রামক এই ভাইরাসের কারণে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়। বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসের কারণে বছরে প্রায় দুই লাখ মানুষ মারা যায়। এই মৃত্যুর ২৫ শতাংশ আবার শিশু। যুক্তরাজ্যে প্রতি বছর নোরোভাইরাসের কারণে প্রায় ৮০ জন মানুষ মারা যায়। সাধারণত বয়স্ক মানুষ এবং দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের মানুষেরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে। কারো মধ্যে এই ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে ৪৮ ঘণ্টার জন্য লক্ষ্মণ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে সংক্রমণ ঠেকাতে মডার্না তাদের নতুন এম-আরএনএ ভ্যাকসিনটি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল করবে। এনএইচএস জানিয়েছে, সংক্রমণ এড়াতে সাবান এবং পানি দিয়ে বার বার হাত ধোয়া হলো সবচেয়ে ভালো উপায়।