- গাজার বেইত লাহিয়ায় আবাসিক ভবনে বিমান হামলা, নিহত ৯৩
- দুদক চেয়ারম্যান-কমিশনারদের পদত্যাগ
- ট্রেনের টিকিট পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন আসছে : রেল উপদেষ্টা
- উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার কাজ শুরু: ডা. জাহিদ
- ‘আমরা আর কতদিন রোহিঙ্গাদের খাইয়ে-পরিয়ে রাখব’
- প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ভলকার তুর্কের বৈঠক
- ৩৮তম বিসিএসের ফল কোটামুক্ত প্রকাশ করতে হাইকোর্টের রুল
- নভেম্বরেই পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর রুটে ট্রেন চলাচল শুরু
- গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দোসরদের রেখে সংস্কার সম্ভব নয়: তারেক রহমান
- ২৭নং ওয়ার্ডে প্রিপেইড মিটার স্হাপনে প্রতিহত করলেন এলাকাবাসী।
» তিস্তায় পানি বাড়ার খবরে বুকটা ভয়ে কেঁপে ওঠে’
প্রকাশিত: 27. August. 2024 | Tuesday
লালমনিরহাটের তিস্তা পাড়ের বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, তিস্তায় সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। কয়েকবার তিস্তার পানি নিজের কষ্টে গড়া বাড়ি-ভিটা ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। বউ বাচ্চা নিয়ে আবার চরে এসে নতুন করে বাড়ি করে আছি। কখন যে হঠাৎ করে পানি বেড়ে আবার সবকিছু নিয়ে যায়। নদীভাঙন আর বন্যায় জীবনের সবকিছু হারিয়েছি। তিস্তায় পানি বাড়বে এমন খবরে বুকটা ভয়ে কেঁপে ওঠে। যদিও গজলডোবা ব্যারেজের গেট খুলে দিয়েছে ভারত। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিস্তায় পানি বাড়ার কোন খবর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তা ব্যক্তিদের কাছে নেই। তবে যে কোন সময় বাড়তে পারে তিস্তার পানি এমনটাই ভাবছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকাল ৯টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টের পানির সমতল ৫১.৫০ মিটার (বিপদসীমা ৫২.১৫ মিটার) যা বিপৎসীমার ৬৫ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সিকিমের পাহাড়ে তিস্তায় নির্মিত জলবিদ্যুতের বাঁধ ভাঙনের খবর আর গজলডোবা ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়া আতঙ্কে আছেন তিস্তা পাড়ের মানুষ।
তিস্তা নদীর ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে পাড়ের কয়েক হাজারের মানুষের ফসলি জমিসহ ঘরবাড়ি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিও কিংবা বাঁধ নির্মাণ তেমন কোনো কাজে আসে না। নদীতে পানি বাড়লে নির্ঘুম রাত কাটে দু-পাড়ের মানুষের। নদী ভাঙ্গনে সবকিছু হারিয়ে তিস্তার জেগে ওঠা নতুন কোনো চরে আশ্রয় নিয়েও বারবার ভাঙনের সম্মুখীন হয় তিস্তা পাড়ের মানুষ। এতে অনেক পরিবার নদী ভাঙনের কবলে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করেন। নদীভাঙন, বন্যা আর তিস্তা পাড়ের মানুষের ভাগ্য যেন একই সুতায় গাঁথা। নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন যেন স্রোতে ভাসিয়ে দেয় তিস্তা নদীর পানি।
পাটগ্রামের দহগ্রাম তিস্তা পাড়ের বাসিন্দা সহিদার রহমান বলেন, ভারতের বাঁধ ভেঙে তিস্তা নদীতে বন্যা শুরু হবে। তাই দুই দিন ধরে আতঙ্কে আছি। অনেক উঠতি ফসলি নিয়েও চিন্তায় আছি। গত দুই দিনে তিস্তার পানি একটু একটু করে বাড়ছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা গজলডোবা ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। এতে তিনি আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন তিস্তাপাড়ের মানুষদের। উজান থেকে পানি আসলেও বন্যার আশংকা নেই বলে দাবি করেন এই প্রকৌশলী ।
[hupso]সর্বাধিক পঠিত খবর
- GSWA এর উপদেষ্টা সৈয়দ জাকির হোসেনের ইন্তেকাল
- বাংলাদেশ সেন্টারের বার্ষিক সাধারণ সভায় দেলোয়ার হোসেনের অনৈতিক কর্মকান্ডে বিক্ষুব্ধ কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ
- শাহ আলম UAE সংবাদ প্রতিনিধি হিসেবেপ দায়িত্ব গ্রহণ
- হাফিজ আনোয়ার হোসেইন সৌদি আরব সংবাদ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ
- রেমিট্যান্স যোদ্ধা শাহাদাতের প্রবাস জীবনের করুণ কাহিনী