- ম্যাডামকে সম্মান দেওয়ায় গোটা জাতি আনন্দিত
- সেনাকুঞ্জে হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া
- রাজধানীজুড়ে তাণ্ডব ভাঙচুর
- শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে
- কথায় কথায় অচল হচ্ছে রাজধানী
- চব্বিশের আন্দোলনের প্রথম সারির নায়ক ছাত্রশিবির: কেন্দ্রীয় সভাপতি
- আমরা সংস্কারের পর নির্বাচন চাই: ফয়জুল করীম
- এক সপ্তাহে রিজার্ভ বাড়ল ৬ কোটি ১০ লাখ ডলার
- খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত যুক্তরাজ্যে পাঠানো হবে : ফখরুল
- ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে হতাহতে সিরিয়াকে টপকে শীর্ষে মিয়ানমার
» যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম অংশীদার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রকাশিত: 28. August. 2024 | Wednesday
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম অংশীদার। তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। প্রশিক্ষণ ও আনুষঙ্গিক সহায়তাসহ চলমান পুলিশ সংস্কারেও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আনসাররা তাদের চাকরি জাতীয়করণের জন্য আন্দোলন করছিল। বাংলাদেশের বিদ্যমান আর্থিক সক্ষমতায় যে দাবি মেনে নেওয়া দুরূহ। তবে সমস্যার সমাধান হয়েছে। তিনি বলেন, তিন বছর পর পর আনসাররা যে ৬ মাসের জন্য বিশ্রামে যেতেন, বর্তমান সরকার তা বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে তাদের বিশ্রামে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না এবং ওই সময়েও তারা বেতন-ভাতাদি পাবেন।
চলমান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আর্থিক সহযোগিতা কামনা করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, কৃষি পুনর্বাসনের লক্ষ্যে বীজ, সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের চাহিদা রয়েছে। জবাবে চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স বলেন, বাংলাদেশের ৯টি সরকারি দপ্তরের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। তারা এ ক্ষেত্রে উপকরণ সরবরাহসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি।
চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে আরো বলেন, আমেরিকান দূতাবাসসহ দূতাবাসপাড়ার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর ভূমিকা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে দীর্ঘমেয়াদি জনকল্যাণের অংশ হিসেবে পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সংস্কার জরুরি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ফয়সল হাসান জানান, আমেরিকান দূতাবাসের নিরাপত্তার স্বার্থে রেডি ফ্রিকোয়েন্সিতে প্রবেশগম্যতার বিষয়টি চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেন। উপদেষ্টা বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর-সংস্থার সমন্বয়ে আন্ত মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান। চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের আসন্ন বাংলাদেশ সফরে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা কামনা করেন।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ইউএসএআইডি মিশন পরিচালক রিড এশলিম্যান, পলিটিক্যাল কাউন্সেলর এরিখ জিলান, কৃষি বিষয়ক অ্যাটাচে সারাহ গিসেকি, ডিফেন্স অ্যাটাচে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাইকেল ডিমিসিই, ল এনফোর্সমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটাচে মাইকেল হিনটসসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
[hupso]