- ম্যাডামকে সম্মান দেওয়ায় গোটা জাতি আনন্দিত
- সেনাকুঞ্জে হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া
- রাজধানীজুড়ে তাণ্ডব ভাঙচুর
- শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে
- কথায় কথায় অচল হচ্ছে রাজধানী
- চব্বিশের আন্দোলনের প্রথম সারির নায়ক ছাত্রশিবির: কেন্দ্রীয় সভাপতি
- আমরা সংস্কারের পর নির্বাচন চাই: ফয়জুল করীম
- এক সপ্তাহে রিজার্ভ বাড়ল ৬ কোটি ১০ লাখ ডলার
- খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত যুক্তরাজ্যে পাঠানো হবে : ফখরুল
- ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে হতাহতে সিরিয়াকে টপকে শীর্ষে মিয়ানমার
» ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নীতি বাস্তবায়নে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন
প্রকাশিত: 18. September. 2024 | Wednesday
এক দেশ-এক নির্বাচন’ (ওয়ান নেশন-ওয়ান ইলেকশন)- নীতি বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগুলো ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সেখানেই ‘এক দেশ-এক নির্বাচন’ নিয়ে দেশটির সাবেক রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এই সম্পর্কিত একটি বিল পেশ হতে পারে বলে জানা গেছে। এর অর্থ দেশটিতে একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন।
‘এক দেশ-এক নির্বাচন’ নিয়ে অনেকদিন ধরেই আলোচনা চলছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপির ইশতেহারে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বাস্তবায়নের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। স্বভাবতই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার তাদের এই মেয়াদেই এই নীতি বাস্তবায়ন করতে মরিয়া।
‘এক দেশ-এক নির্বাচন’ এর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে গত ২০২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর দেশটির সাবেক রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি ৬২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছিল। এর মধ্যে ৩২টি দল ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-কে সমর্থন করেছে। যেখানে বিপক্ষে রয়েছে ১৫টি দল। আর ১৫টি দল ছিল যারা কোনও জবাব দেয়নি।
এই কমিটি ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর সম্ভাবনা নিয়ে গত মার্চ মাসে তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছিল। লোকসভা ও সবকটি রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচন একসাথে করার প্রস্তাবনা নিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ১৮ হাজার ৬২৬ পাতার রিপোর্ট জমা দিয়েছিল কোবিন্দ কমিটি।
কমিটি আরও সুপারিশ করে যে, লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন একযোগে অনুষ্ঠিত হওয়ার ১০০ দিনের মধ্যে স্থানীয় সংস্থার (গ্রাম পঞ্চায়েত, পৌরসভা) নির্বাচনও করা উচিত। এর মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সারা দেশে সব পর্যায়ের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। বর্তমানে গোটা দেশে লোকসভার নির্বাচন একযোগে নেওয়া হলেও বিধানসভার নির্বাচন আলাদা আলাদা ভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
নরেন্দ্র মোদীও দীর্ঘদিন ধরেই ‘এক দেশ-এক নির্বাচন’-র পক্ষে কথা বলে আসছেন। তার যুক্তি ছিল দফায় দফায় নির্বাচন হলে উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হয়। তাকে সমর্থন জানিয়েছে জনতা দল ইউনাইটেড, লোক জনশক্তি পার্টির মত এনডিএ’এর শরিক দলগুলি। যদিও কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী) ‘এক দেশ এক নির্বাচনে’র বিরোধিতা করেছে।
বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান ‘বিভিন্ন পক্ষের সাথে আলোচনার পর রামনাথ কোবিন্দ কমিটির রিপোর্ট অনুমোদনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন একসাথে করার পক্ষে সায় দিয়েছে। এই নীতিকে সমর্থনের ব্যাপারে বিরোধীদলগুলির ভিতরেও অভ্যন্তরীণ চাপ সৃষ্টি হতে পারে।’তিনি আরো জানান’ মোট দুইটি ধাপে এক দেশ এক নির্বাচন নীতি কার্যকর করা হবে। প্রথম ধাপে লোকসভা এবং বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ধাপে ১০০ দিনের মধ্যে পৌরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে।’
[hupso]