- ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা ইমন গ্রেফতার
- অহিংস গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক মাহবুবুল আলম গ্রেফতার
- ২৫০ রকেটে ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর ধ্বংসযজ্ঞ
- যুক্তরাজ্যে ‘জেনোসাইড-ফ্রি’ কোমল পানীয় নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন
- নিজ দেশেও বিপাকে আদানি
- বাইডেন-জেলেনস্কির কারণে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা বাড়ছে’
- শ্রম আইনকে বৈশ্বিক মানদণ্ডের সম মানসমম্পন্ন করতে চাই : ড. ইউনূস
- খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে সৌদি রাষ্ট্রদূত
- ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ৮ দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জামায়াত আমিরের সাক্ষাৎ
- সংঘর্ষের বিষয়ে যা বললেন উপদেষ্টা নাহিদ ও আসিফ
» নিজ দেশেও বিপাকে আদানি
প্রকাশিত: 25. November. 2024 | Monday
আদানি গোষ্ঠীর ১০০ কোটি টাকার তহবিল ফিরিয়ে দিয়েছে ভারতের তেলেঙ্গনা সরকার। যুব সম্প্রদায়ের জন্য কারিগারি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তেলেঙ্গনার কংগ্রেস সরকার। সেই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরিতে অনেক শিল্পপতিই উৎসাহ দেখিয়েছিলেন। বিনিয়োগকারীদের তালিকায় ছিল আদানি গোষ্ঠী। কিন্তু সেই টাকা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল তেলেঙ্গনা সরকার।
সম্প্রতি ‘ঘুষ’ বিতর্কে আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানিসহ সাত জনের নাম জড়িয়েছে। সেই আবহেই ১০০ কোটি তহবিল ফেরানোর কথা জানালেন তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি।
রেবন্ত জানিয়েছেন, কারিগারি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য রাজ্য সরকার কোনও সংস্থার থেকে কোনও অনুদান বা তহবিল নেবে না। তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘গতকাল সরকারের পক্ষে আদানি গোষ্ঠীকে চিঠি লিখে ১০০ কোটি তহবিল না নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।’’
গত ১৮ অক্টোবর আদানি গোষ্ঠীর পক্ষে কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য ১০০ কোটি টাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই টাকা গ্রহণ করা হবে না বলেই জানান রেবন্ত। তিনি স্পষ্ট করেন, দরপত্র ডেকেই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদিও আদানিদের টাকা ফেরানোর সঙ্গে ‘ঘুষ’কাণ্ডের কোনও যোগ রয়েছে, তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি।
কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আদানিদের বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল তেলেঙ্গনার কংগ্রেস সরকার। অতীতে আদানিদের নিয়ে বার বার সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসকে। এমনকি সংসদেও বিরোধীরা আদানি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। সেই পরিস্থিতিতে তেলেঙ্গানার সরকারের আদানির থেকে টাকা নেওয়া কংগ্রেসের ‘দ্বৈত মানসিকতা’ বলে কটাক্ষ করেছিল বিজেপিসহ বিরোধীরা।
কয়েকটি রাজ্যে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ভারতের ‘সরকারি কর্মকর্তাদের ’ (যাঁর মধ্যে নেতা-মন্ত্রীরাও রয়েছেন) ২৬.৫ কোটি ডলার (প্রায় ২২৩৭ কোটি টাকা) ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতি আদানির বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিদ্যুৎ নিগমের কর্মকর্তাদের ওই ঘুষ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। গৌতম, তার ভাইপো সাগরসহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে আমেরিকার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন মোট পাঁচটি ফৌজদারি এবং দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছে। আমেরিকার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইতোমধ্যেই গৌতম এবং সাগরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, গৌতমদের বিরুদ্ধে আমেরিকার আদালত সমনও পাঠিয়েছে।
[hupso]